দিনাজপুরের খানসামায় লিচুর গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ। ফাগুন মাসের শুরুতেই লোভনীয় সেই লিচুর গাছগুলোতে এখন মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ।আর সেই গন্ধের খোঁজে মুকুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছি।

লিচুর গাছগুলোতে এখন শতকরা ৯০ভাগ মুকুল এসে গেছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলার লিচু চাষী ও লিচুর বাগান মালিকরা।

মিষ্টি ও রসালো স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে এ উপজেলায় বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি এবং দেশী লিচুর মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছের ডালপালা। লিচু বাগানগুলোর যেদিকে চোখ যায়, শুধু মুকুলের সমারোহ।

জেলার বিখ্যাত উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে লিচু অন্যতম। স্বাদ ও গন্ধের কারণে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এ জেলার লিচু। এজন্য বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে অনেক লিচুবাগান। ফলে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ ও বেড়েছে। মধ্য মাঝে আগাম এই মুকুল লিচুচাষিদের মনে জাগিয়েছে আশার আলো।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, লিচুর বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষে সংশ্লিষ্ট সকলে।

গাছভর্তি মুকুলের সমারোহ।

আর সেই মুকুল যেন ঝরে না যায় সে জন্য দেয়া হচ্ছে সেচ ও কীটনাশক।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর খানসামা উপজেলা জুড়ে ১৮০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে এবং এর মধ্যে বসতবাড়ীতেই প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে লিচুর চাষ হয়েছে।

উপজেলার কয়েকজন লিচু বাগান মালিক জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচু গাছে আগাম মুকুল এসেছে। কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ গ্রহণ করছি। কর্মকর্তারা বাগানে এসে লিচুরর ভালো ফলন পাওয়ার বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করছেন।

তারা আরও জানান, ‘একটি বড় গাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত এবং সবচেয়ে ছোট গাছে ১ থেকে দেড় হাজার লিচু পাওয়া যায়’।